যোগাযোগঃ +৯১ ৯৯০৩৭ ৬৬৩৫৫
ই-মেইলঃ grievance@sonjog.com

পরিবেশ-বিজ্ঞান > বিস্তারিত

অস্ট্রিয়ান আল্পসের হিমবাহের আয়ু শেষ ২০৫০-এ





সংযোগ প্রতিবেদনঃ কয়েক বছরে শুকিয়ে যাবে অস্ট্রিয়ার জ্যামটালফেরনার হিমবাহ। জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুতর প্রভাব পড়ছে এই হিমবাহের উপর।

হিমবাহ বিশারদ বা গ্লেসিওলজিস্ট আন্দ্রেয়া ফিচার অস্ট্রিয়ার 'আকাদেমি অফ সায়েন্সেস'-এর বিজ্ঞানী।

তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বরফ মাপার কাজ চালাচ্ছে। অতীতের বিভিন্ন তথ্য তুলনায় এনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করছে।

ফিচার বলছেন, গত কয়েক বছরে অস্ট্রিয়ান আল্পসের বিভিন্ন হিমবাহ টুকরো হয়ে ভেঙে জমিতে পড়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে বলে ড্রাই কভিং (Dry Calving)।

স্থানীয় বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুরনো নথি ঘেঁটে বা আবহাওয়া দপ্তরের বিভিন্ন বিবৃতি খুঁজেও বিজ্ঞানীরা হিমবাহের এমন অবস্থার খোঁজ পাননি।

ফিচার বলছেন, "কয়েক বছর আগেও আমাদের ধারণা ছিল বিশ্ব উষ্ণায়ন যা হচ্ছে তাতে অন্তত এই শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত আল্পসের হিমবাহ অক্ষত থাকবে। কিন্তু এখন যে প্রবণতা আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে ২০৫০-এর মধ্যেই জ্যামটালফেরনার হিমবাহ সম্পূর্ণরূপে গলে পড়বে।"

রকি মাউন্টেন থেকে আল্পস বা হিমালয়, সর্বত্র গলছে হিমবাহ। শতাব্দীর পর শতাব্দীর বরফ জমে হিমবাহ তৈরি হয়। হিমবাহ ধীরে ধীরে গলে বহু নদীর উৎপত্তি হয়েছে সারা বিশ্বেই। কিন্তু গলে যাওয়ার পরিমাণ বরফ জমার তুলনায় বেশি হতে থাকলে দ্রুত হিমবাহ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

সংবাদ সংস্থা এপি জানাচ্ছে, চলতি শতকের মধ্যে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ হিমবাহ শুকিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিজ্ঞানী মহলে।

এর মধ্যে জার্মানির একটি হিমবাহ শিনিফেরনার (Schneeferner) এতটাই গলে গিয়েছে যে ২০২২ সালের পর তাকে আর হিমবাহ বলাই হচ্ছে না।

হিমবাহ অস্বাভাবিক হারে গলে গেলে নদী এবং জলাধারে জল আচমকা বেড়ে যেতে থাকে। হড়পা বানের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়।