যোগাযোগঃ +৯১ ৯৯০৩৭ ৬৬৩৫৫
ই-মেইলঃ grievance@sonjog.com

পরিবেশ-বিজ্ঞান > বিস্তারিত

কয়লা না, চিনে বিদ্যুতে এগিয়ে সৌর আর বায়ু





সংযোগ প্রতিবেদনঃ এই প্রথম চিনে কয়লার চেয়ে বেশি শক্তি আসবে হাওয়া কল আর সৌরশক্তি থেকে। দেশের শক্তি পর্ষদ জানাচ্ছে যে বিদ্যুতের গ্রিডে মোটের ৪০% জোগাবে সবুজ ক্ষেত্র। কয়লা থেকে নেওয়া হবে ৭০%।

চিনের বিদ্যুৎ পর্ষদ বার্ষিক রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০২৪'র শেযে বায়ু এবং সৌরবিদ্যুৎ থেকে মিলবে ৪০% জোগান। কয়লা পুড়িয়ে আসবে ৩৭%।

২০২৩'র তুলনায় ছবিটা আলাদা। কেননা আগের বছরে কয়লা থেকে ৪০% বিদ্যুৎ মিলেছে। আর বায়ু এবং সৌরবিদ্যুৎ দিয়েছে ৩৬% জোগান।

নেট জিরো লক্ষ্যে যেতে সব দেশকেই এগোতে হবে এই পথেই। কিন্তু চিনের সাফল্য বাড়তি নজর টেনেছে। চিনের জনসংখ্যা বিশাল হওয়ার দরুন শক্তির প্রয়োজনও বেশি। তাছাড়া, বিশ্বস্তরের পরিবেশ সম্মেলন 'সিওপি' লক্ষ্য ঠিক করলেও শিল্পোন্নত দেশগুলো এখনও যথেষ্ট পিছিয়ে।

'ক্রিশ্চিয়ন সায়েন্স মনিটর'-এর একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেই চিন জীবাশ্ম জ্বালানিকে পিছনে ফেলে দিতে পারত। সে বছর খরার কারণে জলবিদ্যুতের উৎপাদন মার খেয়ে যায়। সে বছরে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ বা তাপবিদ্যুৎ বাড়িয়ে সমস্যা সামলাতে হয়। কারণ করোনা মহামারীর পর চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল লাফিয়ে।



২০২৩ সালে কয়লার ব্যবহার কমাতে চাইলেও চিন তা করে উঠতে পারেনি। করোনা মহামারীর দরুন অর্থনীতি ব্যাপক মার খেয়েছিল আগের দু'বছর। ২০২৩ কাহেদার রেখচিত্র উঠতে দেখছিল। যোগান বাড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। কয়লার ওপর চিরাচরিত ভরসা থেকে সরে আসা সম্ভব ছিল না।

২০২৩ সালে তাপ বিদ্যুতের উৎপাদন ৪% বাড়ে। তবে বিদ্যুতের সার্বিক চাহিদা বাড়ার হার ছিল বেশি, ৭%। বায়ুশক্তি থেকে সে বছরেই ১৮% বাড়তি জোগান মিলেছিল। সৌরশক্তির যোগান চিন ৫০% বাড়িয়ে নিয়েছিল।

সরকারি সংবাদমাধ্যম 'শিনহুয়া' (Xinhua) জানিয়েছে বায়ু এবং সৌর বিদ্যুতই প্রধান উৎস হয়ে উঠবে দ্রুত। কার্বন নির্গমনের মাত্রা কম রেখে বিদ্যুৎ তৈরিতেই জোর দেবে চিন।